স্বদেশ ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাথে সাবেক মার্কিন কূটনীতিকদের বিতর্ক হয়েছে। শাহরিয়ার আলম এক টুইটে ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম ও উপ-রাষ্ট্রদূত জন ডেনিলোয়েজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো ও বিএনপি পক্ষে কাজ করার অভিযোগ এনেছেন। প্রতিমন্ত্রীর এই টুইটের জবাবে উইলিয়াম বি মাইলাম কোনো মন্তব্য না করলেও জন ডেনিলোয়েজ এটিকে ‘চরিত্রহননমূলক কাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুইটারের সাথে একটি ভিডিও জুড়ে দিয়ে লিখেছেন, সবার জানা উচিত, এই কূটনীতিকরা নিরপেক্ষ নন। তারা কখনোই নিরপেক্ষ ছিলেন না, এমনকি ঢাকায় কাজ করার সময়ও না। প্রশ্নটি হলো, তারা কি বিনামূল্যে কাজটা করছেন? যদি তা না হয়, তবে কে তাদের অর্থের জোগান দিচ্ছেন?
টুইটারে জুড়ে দেয়া ভিডিওতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে বিএনপির প্রচারণায় সাবেক মার্কিন কূটনীতিকরা জড়িত হয়েছেন। এই কূটনীতিকরা দৃশত বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেসসচিব মুসফিকুল ফজল আনসারির অর্থায়নে এ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে তারা শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম।
তিনি বিএনপির পক্ষে পক্ষপাতদুষ্টতার জন্য পরিচিতি। অপরজন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জন ডেনিলোয়েজ। তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে দুই দফায় কাজ করেছেন। মুসফিকুল ফজল আনসারি বিশেষ করে বিএনপির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি আলোচ্য মার্কিন কূটনীতিকদের বেতনের আওতায় আনার জন্য সম্প্রতি ‘সাউথ এশিয়া প্রাসপেকটিভ’ নামে নতুন একটি মতামতভিত্তিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করছেন। ম্যাগাজিনটির এডিটর রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম। আর জন ডেনিলোয়েজ এটির এডিটর অ্যাট লার্জ। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্ত করতে এই ধরনের উদ্দেশ্যমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের নেটিজানরা বিরক্ত। এতে প্রশ্ন রাখা হয়, পলাতক ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন একটি দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা কিভাবে ওকালতি করতে পারেন?
জন ডেনিলোয়েজ পাল্টা টুইটে লিখেছেন, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানেন যে এটা মিথ্যা। তিনি চরিত্রহননের কাজে যুক্ত হয়েছেন, যা দুঃখজনক। আমি বুঝতে পারি তিনি কোন ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদেশ ও দেশটির জনগণের প্রতি আমার ভালোবাস অকৃত্রিম। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সবখানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উন্নয়নে আমি ক্ষুদ্র ভূমিকা রেখে যাব।
উইলিয়াম বি মাইলাম ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের অক্টোরব পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অন্য দিক জন ডেনিলোয়েজ ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনীতি বিষয়ক কাউন্সিলার ও ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত উপ-রাষ্ট্রদূত ছিলেন।